CIDR (Classless Inter-Domain Routing)

CIDR (Classless Inter-Domain Routing)

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) হলো একটি নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেসিং স্কিম যা আইপি ঠিকানা বরাদ্দ এবং রাউটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ক্লাস ভিত্তিক আইপি ঠিকানা ব্যবস্থার পরিবর্তে ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং আইপি ঠিকানার ব্যবহারকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়ক।

CIDR এর বৈশিষ্ট্য

1. ক্লাসলেস অ্যাড্রেসিং:
   • CIDR ক্লাস A, B, C এর পরিবর্তে আইপি ঠিকানা বরাদ্দে ক্লাসলেস নীতির উপর ভিত্তি করে। এটি IP ঠিকানার যে কোনও পরিসর ব্যবহারের সুযোগ দেয়, যা নমনীয়তা প্রদান করে।
2. সাবনেট মাস্ক:
   • CIDR একটি সাবনেট মাস্ক ব্যবহার করে, যা একটি আইপি ঠিকানার সাথে / চিহ্ন দ্বারা যুক্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, 192.168.1.0/24 এখানে /24 নির্দেশ করে যে প্রথম 24 বিট নেটওয়ার্ক অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
3. অ্যাকাউন্টেবল নেটওয়ার্ক:
   • CIDR এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের আকার পরিবর্তন করা যায়, যা IP ঠিকানার দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে। এটি ছোট এবং বড় নেটওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত।
4. রাউটিং সারণীর আকার হ্রাস:
   • CIDR নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে রাউটিং তথ্যের সংকলন করতে সক্ষম, যা রাউটিং সারণীর আকার কমিয়ে দেয় এবং ইন্টারনেট রাউটিংয়ের দক্ষতা বাড়ায়।

CIDR এর ব্যবহার

• ইন্টারনেটের বিস্তার: CIDR প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের আইপি ঠিকানার সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা করা হয়।
• নেটওয়ার্ক পরিচালনা: এটি নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেসিং এবং নেটওয়ার্ক স্তরের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়।
• ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড সেবা: ডেটা সেন্টারগুলিতে এবং ক্লাউড সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে CIDR ব্যবহৃত হয়, যেখানে নমনীয় এবং স্কেলেবল নেটওয়ার্কের প্রয়োজন।

CIDR এর উদাহরণ

ধরা যাক, আপনার কাছে একটি ক্লাস C নেটওয়ার্ক 192.168.1.0 আছে এবং আপনি 4টি সাবনেটে ভাগ করতে চান। ক্লাস C সাধারণত /24 সাবনেট মাস্ক ব্যবহার করে। CIDR এর মাধ্যমে আপনি নিম্নরূপে এটি করতে পারেন:

1. CIDR সঠিকভাবে সাবনেট করুন:
   • যদি আপনি 4টি সাবনেটে ভাগ করতে চান, তবে আপনাকে 2 বিট ব্যবহার করতে হবে:
     • সাবনেট মাস্ক হবে: /26 (255.255.255.192)
2. সাবনেট ঠিকানা:
   • সাবনেট 1: 192.168.1.0/26 (নেটওয়ার্ক ঠিকানা), 192.168.1.1 থেকে 192.168.1.62 (হোস্ট ঠিকানা), ব্রডকাস্ট: 192.168.1.63
   • সাবনেট 2: 192.168.1.64/26 (নেটওয়ার্ক ঠিকানা), 192.168.1.65 থেকে 192.168.1.126 (হোস্ট ঠিকানা), ব্রডকাস্ট: 192.168.1.127
   • সাবনেট 3: 192.168.1.128/26 (নেটওয়ার্ক ঠিকানা), 192.168.1.129 থেকে 192.168.1.190 (হোস্ট ঠিকানা), ব্রডকাস্ট: 192.168.1.191
   • সাবনেট 4: 192.168.1.192/26 (নেটওয়ার্ক ঠিকানা), 192.168.1.193 থেকে 192.168.1.254 (হোস্ট ঠিকানা), ব্রডকাস্ট: 192.168.1.255

CIDR এর সুবিধা

1. আইপি ঠিকানার সাশ্রয়: CIDR নেটওয়ার্কে আইপি ঠিকানার ব্যবহার আরও দক্ষ করে এবং সংকট মোকাবেলা করতে সহায়ক।
2. বিশাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা: বড় এবং ছোট নেটওয়ার্কের জন্য নমনীয়তা প্রদান করে।
3. রাউটিং সারণী হ্রাস: রাউটিং সারণীতে তথ্যের সংকলন করতে সহায়তা করে, যা রাউটিং প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

সারসংক্ষেপ

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি যা আইপি ঠিকানা বরাদ্দের প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করে এবং এটি ক্লাস ভিত্তিক অ্যাড্রেসিংয়ের পরিবর্তে ক্লাসলেস অ্যাড্রেসিং ব্যবহার করে। এটি নেটওয়ার্কের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং আইপি ঠিকানার ব্যবহারকে আরও কার্যকর করতে সহায়ক। CIDR প্রযুক্তির ব্যবহার ডিজিটাল নেটওয়ার্কের জগতকে উন্নত করতে সহায়তা করছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

CIDR কী এবং এর ভূমিকা

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) হলো একটি প্রযুক্তি যা IP ঠিকানাগুলোর বরাদ্দ এবং নেটওয়ার্কের রাউটিংকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি 1993 সালে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স (IETF) দ্বারা চালু করা হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল IP ঠিকানার অভাব এবং রাউটিং টেবিলের আকার কমানো।

CIDR এর মূল বৈশিষ্ট্য

1. ক্লাসলেস পদ্ধতি:
   • CIDR ক্লাস ভিত্তিক ঠিকানা ব্যবস্থার পরিবর্তে ক্লাসলেস পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটি আইপি ঠিকানার শ্রেণী (A, B, C) নির্ধারণ না করে, বরং ঠিকানার সাথে একটি সাবনেট মাস্ক ব্যবহার করে।
2. সাবনেট মাস্ক:
   • CIDR এ সাবনেট মাস্ক একটি / দিয়ে নির্দেশিত হয়, যা নেটওয়ার্ক অংশের বিটের সংখ্যা নির্দেশ করে। উদাহরণ: 192.168.1.0/24 নির্দেশ করে যে প্রথম 24 বিট নেটওয়ার্কের জন্য এবং বাকি 8 বিট হোস্টের জন্য ব্যবহার করা হয়।
3. সুবিধাজনক ঠিকানা বরাদ্দ:
   • CIDR ডায়নামিক্যালি IP ঠিকানাগুলোর বরাদ্দ করতে সক্ষম। এটি ছোট এবং বড় নেটওয়ার্কগুলোর জন্য সঠিক পরিমাণের আইপি ঠিকানা বরাদ্দ করার সুযোগ দেয়, যা ঠিকানা ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ায়।
4. রাউটিং টেবিলের আকার হ্রাস:
   • CIDR ব্যবহারের মাধ্যমে রাউটিং টেবিলের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এটি বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে, যা রাউটারকে সহজে এবং দ্রুত তথ্য স্থানান্তর করতে সাহায্য করে।

CIDR এর ভূমিকা

1. IP ঠিকানার দক্ষ ব্যবস্থাপনা:
   • CIDR IP ঠিকানার বরাদ্দকে আরও কার্যকর করে, যা বড় সংখ্যক নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসের জন্য আইপি ঠিকানার চাহিদা পূরণে সহায়ক।
2. রাউটিং সহজ করা:
   • CIDR রাউটিং প্রক্রিয়াকে সহজ করে, কারণ এটি একই নেটওয়ার্কে থাকা একাধিক ক্লাসের ঠিকানাকে একত্রিত করে। এটি নেটওয়ার্ক রাউটারগুলোর জন্য সহজ এবং কার্যকর রাউটিং টেবিল তৈরি করে।
3. নেটওয়ার্ক প্রসারণ:
   • CIDR নতুন নেটওয়ার্কের জন্য IP ঠিকানা বরাদ্দের ক্ষেত্রে আরও নমনীয়তা প্রদান করে, যা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সময় উপকারী।
4. শ্রেণী ভিত্তিক সিস্টেমের পরিবর্তন:
   • CIDR ক্লাস ভিত্তিক সিস্টেমের সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করে, যা IPv4 ঠিকানার সংকট মোকাবেলা করতে সহায়ক।

উদাহরণ

ধরি, একটি প্রতিষ্ঠান একটি ক্লাস C নেটওয়ার্ক 192.168.0.0/24 ব্যবহার করছে। যদি তারা CIDR ব্যবহার করে এই নেটওয়ার্ককে দুটি সাবনেটে ভাগ করে, তাহলে তারা এভাবে করতে পারে:

• সাবনেট 1: 192.168.0.0/25 (128 ঠিকানা)
• সাবনেট 2: 192.168.0.128/25 (128 ঠিকানা)

এতে তারা তাদের নেটওয়ার্কের ঠিকানা ব্যবহারকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারে।

সারসংক্ষেপ

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) হলো একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা IP ঠিকানার বরাদ্দ এবং নেটওয়ার্ক রাউটিংকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়ক। এটি ক্লাস ভিত্তিক ঠিকানা ব্যবস্থার পরিবর্তে ক্লাসলেস পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা আইপি ঠিকানার ব্যবস্থাপনা, রাউটিং টেবিলের আকার হ্রাস এবং নেটওয়ার্ক প্রসারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। CIDR-এর সাহায্যে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বর্তমান ইন্টারনেটের একটি মৌলিক উপাদান।

CIDR নোটেশন (Classless Inter-Domain Routing Notation) এবং সাবনেটিং এর সাথে সম্পর্ক

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) নোটেশন হলো একটি পদ্ধতি যা আইপি ঠিকানাগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং রাউটিংকে উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্লাস ভিত্তিক আইপি ঠিকানা ব্যবস্থাপনাকে সরিয়ে দিয়ে আরও নমনীয় এবং দক্ষ নেটওয়ার্ক সংযোগের সুযোগ প্রদান করে। CIDR নোটেশনটি সাবনেটিংয়ের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, কারণ এটি নেটওয়ার্কগুলোর বিভাজন এবং আইপি ঠিকানা বরাদ্দে সহায়ক।

CIDR নোটেশন কি?

CIDR নোটেশন একটি আইপি ঠিকানা এবং সাবনেট মাস্কের সংকেত প্রকাশের পদ্ধতি। এটি সাধারণত আইপি ঠিকানার পরে একটি স্ল্যাশ (/) এবং বিটের সংখ্যা দিয়ে নির্দেশিত হয়, যা নেটওয়ার্ক অংশের বিটের সংখ্যা নির্দেশ করে।

উদাহরণ

• আইপি ঠিকানা: 192.168.1.0/24
  • এখানে 192.168.1.0 হলো আইপি ঠিকানা এবং /24 হলো নেটওয়ার্ক অংশের বিট সংখ্যা। এর মানে হলো প্রথম 24 বিট নেটওয়ার্ক অংশ এবং শেষ 8 বিট হোস্ট অংশ।

CIDR নোটেশন এবং সাবনেটিং এর সম্পর্ক

১. সাবনেটিংয়ে নমনীয়তা

CIDR সাবনেটিংকে আরও নমনীয় করে তোলে। ক্লাস ভিত্তিক পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কের আকারের সীমাবদ্ধতা থাকে, যেখানে CIDR বিভিন্ন আকারের সাবনেট তৈরির অনুমতি দেয়।

• উদাহরণ:
  • 192.168.1.0/26 মানে হলো 64টি হোস্টের জন্য সাবনেট (2^(32-26)=64), যা বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. আইপি ঠিকানার দক্ষ ব্যবস্থাপনা

CIDR নোটেশন আইপি ঠিকানার বরাদ্দে দক্ষতা বাড়ায়। এটি নেটওয়ার্ক প্রশাসকদেরকে নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে ঠিকানার পরিমাণ বরাদ্দ করতে সক্ষম করে।

• উদাহরণ:
  • একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য 172.16.0.0/20 ঠিকানা বরাদ্দ করা হলে এটি 4096টি হোস্ট (2^(32-20)=4096) সমর্থন করতে পারে।

৩. রাউটিং টেবিলের আকার হ্রাস

CIDR নেটওয়ার্কের বৃহৎ সংখ্যা দ্বারা আইপি ঠিকানার সমন্বয়ের মাধ্যমে রাউটিং টেবিলের আকার হ্রাস করতে সহায়ক। এটি একটি বৃহৎ সংখ্যা নেটওয়ার্ককে একটি সিঙ্গল এন্ট্রিতে একত্রিত করতে সক্ষম করে।

• উদাহরণ:
  • 192.168.0.0/16 এবং 192.168.1.0/24 একত্রে 192.168.0.0/16 এন্ট্রির মাধ্যমে রাউটিং টেবিলকে সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে।

সারসংক্ষেপ

CIDR নোটেশন সাবনেটিংয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি যা নেটওয়ার্ক ডিজাইন এবং আইপি ঠিকানা ব্যবস্থাপনায় নমনীয়তা, দক্ষতা এবং কার্যকারিতা প্রদান করে। এটি সঠিকভাবে আইপি ঠিকানা বরাদ্দের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক প্রশাসকদের কাজকে সহজতর করে এবং রাউটিং টেবিলের আকার হ্রাসে সহায়ক। CIDR প্রযুক্তি আধুনিক নেটওয়ার্কিংয়ে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি সঠিক নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা নিশ্চিত করে।

সুপারনেটিং (Supernetting) এবং এর ব্যবহার

সুপারনেটিং হলো একটি নেটওয়ার্কিং কৌশল, যা একাধিক ছোট নেটওয়ার্ক বা সাবনেটকে একত্রিত করে একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্ক বা "সুপারনেট" তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি মূলত আইপি ঠিকানার ব্যবস্থাপনায় এবং নেটওয়ার্ক রাউটিংয়ে ব্যবহৃত হয়। সুপারনেটিংয়ের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সাইজ বাড়ানো এবং রাউটিং টেবিলের আকার হ্রাস করা সম্ভব।

সুপারনেটিং কী?

সুপারনেটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছোট নেটওয়ার্কগুলোর আইপি ঠিকানাগুলোকে একত্রিত করে একটি নতুন, বৃহত্তর আইপি ঠিকানা সৃষ্টি করা হয়। এটি সাধারণত CIDR (Classless Inter-Domain Routing) পদ্ধতি ব্যবহার করে সম্পন্ন হয়। সুপারনেটিংয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হলো:

• রাউটিং টেবিলের আকার কমানো: একাধিক সাবনেটকে একত্রিত করে রাউটিং টেবিলের মধ্যে এন্ট্রি সংখ্যা হ্রাস করা হয়।
• আইপি ঠিকানার কার্যকর ব্যবহার: বৃহত্তর নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে আইপি ঠিকানার ব্যবহারকে আরও দক্ষ করা হয়।

সুপারনেটিংয়ের কাজের প্রক্রিয়া

সুপারনেটিংয়ের প্রক্রিয়া বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেখা যাক:

উদাহরণ

ধরি, আমাদের কাছে তিনটি ক্লাস C নেটওয়ার্ক রয়েছে:

• 192.168.1.0/24
• 192.168.2.0/24
• 192.168.3.0/24

এখন আমরা এই তিনটি নেটওয়ার্ককে একটি সুপারনেট (Supernet) এ রূপান্তর করতে চাই।

1. নেটওয়ার্কের ঠিকানা এবং সাবনেট মাস্ক:
   • এই তিনটি নেটওয়ার্কের জন্য কনসোলিডেটেড অ্যাড্রেস তৈরি করতে হবে।
2. সুপারনেট তৈরি:
   • তিনটি ক্লাস C নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে একটি ক্লাস B নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়:
   • সুপারনেট ঠিকানা: 192.168.0.0/22
   • এটি 192.168.0.0 থেকে 192.168.3.255 পর্যন্ত সমস্ত ঠিকানাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

রাউটিং টেবিলে পরিবর্তন

• পুরনো রাউটিং টেবিলের মধ্যে 192.168.1.0, 192.168.2.0, এবং 192.168.3.0 তিনটি আলাদা এন্ট্রি থাকবে।
• সুপারনেটিংয়ের মাধ্যমে, এই তিনটি নেটওয়ার্কের জন্য একটি মাত্র এন্ট্রি থাকবে: 192.168.0.0/22।

সুপারনেটিংয়ের সুবিধা

1. রাউটিং টেবিলের আকার কমানো:
   • এটি রাউটার এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলোর রাউটিং টেবিলের আকার কমিয়ে দেয়, যা কার্যকারিতা বাড়ায়।
2. নেটওয়ার্কের কার্যকরী ব্যবস্থাপনা:
   • নেটওয়ার্কের সুসংহতকরণ এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রদান করে, যা নেটওয়ার্ক পরিচালনায় সহায়ক।
3. আইপি ঠিকানার সাশ্রয়:
   • আইপি ঠিকানার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়, যা নেটওয়ার্কের আকার বাড়ানোর সময় দরকারি।
4. সহজ নেটওয়ার্ক সংযোগ:
   • বড় নেটওয়ার্ক সংযোগের ক্ষেত্রে এটি সহজতর করে, কারণ সামগ্রিক নেটওয়ার্কের জন্য একটি সুপারনেট ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।

সারসংক্ষেপ

সুপারনেটিং একটি কার্যকরী নেটওয়ার্কিং কৌশল যা আইপি ঠিকানার কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং রাউটিং টেবিলের আকার কমাতে সহায়ক। এটি ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে একত্রিত করে বৃহত্তর নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ নেটওয়ার্ক সংযোগ এবং পরিচালনা নিশ্চিত করে। সুপারনেটিংয়ের ব্যবহার ইন্টারনেটের সামগ্রিক কার্যকারিতাকে উন্নত করে এবং সংস্থানগুলোকে আরও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।

CIDR এর মাধ্যমে IP অ্যাড্রেসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি (Enhancing IP Address Efficiency through CIDR)

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) হলো একটি প্রযুক্তি যা নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের IP অ্যাড্রেসগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাস ভিত্তিক নেটওয়ার্কিংয়ের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি আইপি ঠিকানার শ্রেণীবিভাগকে অতিক্রম করে।

CIDR এর বৈশিষ্ট্য

1. ক্লাসলেস অ্যালোকেশন:
   • CIDR IP অ্যাড্রেসের ক্লাসের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রয়োজনীয় সংখ্যার ভিত্তিতে ঠিকানা বরাদ্দ করে। এর ফলে নেটওয়ার্কগুলোর জন্য আইপি ঠিকানার ব্যবহার আরও কার্যকর হয়।
2. সাবনেটিংয়ের সহজীকরণ:
   • CIDR সাবনেটিংয়ের প্রক্রিয়াকে সহজ করে, যা বৃহৎ নেটওয়ার্কগুলিকে ছোট নেটওয়ার্কে বিভক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করে।
3. আইপি ঠিকানার ভলিউম (Volume of IP Addresses):
   • CIDR ব্যবহার করে একটি বৃহৎ সংখ্যক আইপি ঠিকানা তৈরি করা যায়, যা ইন্টারনেটের জন্য আইপি ঠিকানার সংকট সমাধানে সহায়ক।
4. স্পষ্ট নেটওয়ার্ক সীমানা:
   • CIDR ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক সীমানা আরও স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এটি রাউটিং টেবিলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

CIDR এর মাধ্যমে IP অ্যাড্রেসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি

1. আইপি অ্যাড্রেসের সংরক্ষণ:
   • CIDR একটি বৃহৎ IP ঠিকানা ব্লককে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা আইপি ঠিকানার ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, 192.168.0.0/16 ব্লকটি 192.168.1.0/24 এবং 192.168.2.0/24 এর মতো সাবনেটগুলিতে বিভক্ত করা যায়।
2. বহুবিধ নেটওয়ার্কের সাপেক্ষে নমনীয়তা:
   • CIDR নেটওয়ার্কের আকার এবং কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। বড় নেটওয়ার্কগুলি যেভাবে আইপি ঠিকানা বরাদ্দ করে, সেভাবে ছোট নেটওয়ার্কগুলোও নমনীয়তার সাথে ঠিকানা পেতে পারে।
3. রাউটিং টেবিলের কার্যকারিতা:
   • CIDR রাউটিং টেবিলকে সঙ্কুচিত করতে সহায়ক। একাধিক নেটওয়ার্ককে একটি একক রাউটিং এন্ট্রির মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, যা রাউটিং টেবিলের আকার ছোট করে এবং কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি রাউটারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
4. নেটওয়ার্ক উন্নয়ন:
   • CIDR নেটওয়ার্কের পরিবর্তন এবং বৃদ্ধির সময় কার্যকরী। নতুন সাবনেটগুলি সহজেই যুক্ত করা যায়, যা নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পরিবর্ধন এবং পরিবর্তনকে সহজতর করে।
5. বিস্তৃত ব্যবহার:
   • CIDR প্রোটোকলটির সমর্থনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা এটিকে কার্যকরী এবং সুবিধাজনক করে তোলে।

সারসংক্ষেপ

CIDR (Classless Inter-Domain Routing) IP অ্যাড্রেসের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। এটি আইপি ঠিকানার ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ায়, নেটওয়ার্কের নমনীয়তা নিশ্চিত করে, এবং রাউটিং টেবিলের কার্যকারিতা উন্নত করে। CIDR এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক প্রশাসকরা সহজে সাবনেটিং করতে পারেন এবং নেটওয়ার্কের আকার এবং গঠন পরিবর্তন করতে পারেন, যা আধুনিক ইন্টারনেটের জন্য অপরিহার্য।